রাজধানীর কদম ফোয়ারা চত্বরে বাসে আগুন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/10/31/baas.jpg)
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে কদম ফোয়ারা চত্বরে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট সার্ভিস নামের বাসটিতে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আগুন দেয় তারা। এতে বাসটি পুড়ে যায়, তবে কেউ হতাহত হয়নি।
বাসচালকের সহকারী (হেলপার) ওয়াজেদ আহমেদ জয় জানান, গুলিস্তান থেকে ছেড়ে আসে বাসটি। পরে পল্টন থেকে যাত্রী তোলেন তারা।
বাসচালকের সহকারী বলেন, ‘পথিমধ্যে দুজন (যাত্রী) বলেন—নামাইয়া দাও। পেছন থেকে যাত্রীরা চিল্লাচিল্লি করে ওঠে—বাসে আগুন ধরছে, আগুন ধরছে। তখন আমরা কোনো রকমে বাসটি থামায় ও যাত্রী নামিয়ে দিই। সবার শেষে আমি ও আমার ড্রাইভার বাস থেকে নামি।’
পল্টন থেকে বাসে কতজন উঠছিল—প্রশ্নে জয় বলেন, ‘পল্টন থেকে নরমালি যেরকম যাত্রী ওঠে, সেরকমই উঠেছিল। আট থেকে ১০ জন উঠেছিল।’ তারা কোথায় নেমেছিলেন—প্রশ্নের জবাবে ওয়াজেদ আহমেদ জয় বলেন, ‘পল্টন থেকে ওনারা উঠেছে। আর প্রেসক্লাবের সামনে নেমেছে। একটা তো গ্রুপ, যখন উনারা নামছে তখন আগুন আগুন বইলা সবাই নামছে। যাত্রীবেশেই উঠেছে, যাত্রীবেশেই নেমেছে। যখন যখন আগুন আগুন চিল্লাইছে, সবাই একসঙ্গে নেমে গেছে। তাই কাউকে ক্যাচ (ধরতে) বা চিনতে পারিনি।’
তাদের হাতে কোনো কিছু ছিল কি না—এমন প্রশ্নে বাসের ওই সহকারী বলেন, ‘ভাই, এটাতো দেখতে পারিনি। এরকম কিছু দেখলে কেউ কাউরে গাড়িতে উঠাই?’ চালক কোথায় সে প্রশ্ন তিনি বলেন, ‘এখানেই আছেন।’
অনেকে বলছে, যখন আগুন লাগছে তখন না কি যাত্রী ছিল না–এই প্রশ্নে ওয়াজেদ আহমেদ জয় বলেন, ‘আমরা তো গুলিস্তান থেকে সিরিয়াল লাগাইয়া গাড়ি বাহির করি। সেখান থেকেই আমাদের গাড়িতে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী হয়। এরপর রানিংয়ে রানিংয়ে যাত্রী ওঠে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাড়ির ভেতরে যারা ছিল তাদের মধ্যেই যে কেউ একজন আগুন দিছে। পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
এদিকে, বাসটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। বিষয়টি জানান সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা যান। পরে পুলিশ সেখান থেকে বাসটিকে নিয়ে যায়।