কক্সবাজারে দুজনের মৃত্যু, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) কক্সবাজারে ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছে চাপা পড়ে ও ডুবে দুজন নিহত হয়েছেন। আর গভীর সাগরে ইঞ্জিন বিকল দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩২ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের হলেন, মহেশখালী উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়নের মোহাম্মদ সাঈদ ও জেলে আমির হোসেন কামাল।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাস জানান, শুক্রবার বিকেলে ঝড়ের সময় সাঈদের বাড়িতে বড় একটা গাছ উপড়ে পড়ে। এ সময় গাছে নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজ শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদ মারা যায়।
অপরদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি এলাকায় সাগর থেকে ফেরার সময় একটি মাছ ধরার নৌকা মহেশখালী চ্যানেলে ডুবে যায়। এতে নৌকাটিতে থাকা আমির হোসেন কামাল নামে এক জেলে ডুবে মারা যায়।
বিভীষণ কান্তি দাস জানান, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে গভীর সাগরে দুটি ফিশিং ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। আজ দুপুরে ৩২ জন জেলেসহ ওই ট্রলার দুটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ। দুটি ট্রলারই কক্সবাজারের বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানিয়ে কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ কবির হোসেন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে মহেশখালীতে ২০ হেক্টর পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জেলাজুড়ে ১৪৫ হেক্টর আমন ধান, ১৮০ হেক্টর শীতকালীন আগাম শাকসবজি ও ১১ হেক্টর সরিষা ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, দুদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে টেকনাফ ছেড়ে যায়। তবে, জাহাজটিতে কোনো পর্যটক ছিল না। মূলত, দ্বীপটিতে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসবে জাহাজটি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী জানান, গত দুদিন ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে থাকা পর্যটকদের আজ বিকেলে টেকনাফে নিয়ে আসা হবে।