উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএনপিনেতা, কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রথম দফায় অনুষ্ঠিতব্য কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম। তিনি একই সঙ্গে সদর উপজেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাজমুল আলম আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নাজমুল আলম এর আগে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে নাজমুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে উল্লেখ করে জবাব দেওয়ার জন্য নাজমুল আলমকে দুই দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে পত্রটি নাজমুল আলমের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মৌখিকভাবে ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাজমুল আলমের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মোটেও উচিত হয়নি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।
এ ব্যাপারে নাজমুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি তৃণমূলের জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছি। সেই মানুষদের জন্যই কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তা ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে জনগণের চাপ ও ইচ্ছার প্রতিও সম্মান জানিয়েছি। গতবারও আমি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রত্যাহার করেছিলাম। এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একবার আমি বিজয়ী হলেও কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির দলীয় অবস্থান ও কারণ দর্শানো নোটিশ প্রসঙ্গে নাজমুল আলম বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। তবে আশা কেন্দ্রীয় বিএনপি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের চাওয়া-পাওয়া এবং এবং তাদের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততাকে আমলে নিয়ে বিবেচনা করবে। আমিও উত্তরে এ কথাটা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বোঝাতে চেষ্টা করব। তার পরও দল আমাকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি মেনে নিব। আমি বিএনপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’