হেলিকপ্টার ও বোটে ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৬৭ বন্যার্তকে উদ্ধার করল সশস্ত্র বাহিনী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/08/26/bimaan.jpg)
সশস্ত্র বাহিনী বন্যার্তদের উদ্ধার, চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৫৬৭ জন বন্যার্তকে হেলিকপ্টার ও বোট যোগে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বমোট ২১ হাজার ৫৫৯ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী, ১২ হাজার ৯৯৩ কেজি শুকনো রশদ, চার হাজার ৬২০ জনকে রান্না করা খাবার এবং পাঁচ হাজার ৬৪০ লিটার পানি বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে সাতটি অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে মোট দুই হাজার ২১৭ জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) এই তথ্য জানানো হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার গতকাল সেনাবাহিনী জল, স্থল ও আকাশ পথে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। মানবতার সেবায় পরিচালিত এই অভিযানকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ ২১টি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আইএসপিআর বলছে, এ পর্যন্ত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৬ জন মুমূর্ষ রোগীকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হতে উদ্ধারপূর্বক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন শিশু, ছয়জন অন্তঃসত্ত্বা নারী, দুজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী ও পাঁচজন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও দুই হাজার ১৪৭ প্যাকেট ত্রাণ ফেনী সদর, ফাজিলপুর, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, পরশুরাম ও মধুগ্রাম এলাকায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বন্যা কবলতি পাইকগাছার দুর্গত মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনী। একইসঙ্গে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অব্যাহতভাবে বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।