নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিষয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে (আইসিটি) সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান আইসিসির জ্যেষ্ঠ ট্রায়াল আইনজীবী এসা এমবাই ফাল। 

এসা এমবাই ফাল বলেন, ‘কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা উভয় ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রগুলোকে সাহায্য করার জন্য আইসিসি সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।’

ব্রিফিংয়ে আইনজীবী এসা এমবাই ফাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার বিষয়ে কৌঁসুলি করিম খানের সিদ্ধান্তের কথাও ঘোষণা করেন। তিনি রোহিঙ্গা-সংশ্লিষ্ট নৃশংসতার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

আইনজীবী এসা এমবাই ফাল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কৌঁসুলি দপ্তর যে সহায়তা পেয়েছে, তা অসাধারণ। তাদের সহযোগিতা আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং আমাদের উদ্দেশ্যাবলি অর্জন উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ করেছে।’

বাংলাদেশের আইসিটিকে সহায়তা করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ফাল আইসিসির সহায়তা প্রদানের সদিচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে এক বিবৃতিতে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান, প্রি-ট্রায়াল চেম্বার ওয়ানে মিয়ানমারের সামরিক নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

এটি আইসিসি প্রসিকিউটর অফিস কর্তৃক দায়ের করা মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রথম আবেদন।

২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দফায় দফায় নৃশংসতা থেকে উদ্ভূত অভিযোগগুলো ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে আইসিসি তদন্ত করছে। এই নৃশংসতার ফলে বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।