টিকটক করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণী, আটক ৬
ফরিদপুরে টিকটক করার জন্য ডেকে তরুণীকে জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ ও পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিনগত রাতে (৩ জানুয়ারি) ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাদের মোবাইলফোনে ধারণকৃত নগ্ন ভিডিওর ফুটেজ জব্দ করেছে পুলিশ। আটকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আটকরা হলেন- ধর্ষণকারী দুই যুবক ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী গ্রামের আকরাম খাঁন (২৫) ও মধুখালি উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের জুয়েল মোল্লা (৩০)। এছাড়া পর্নগ্রাফি আইনে সাইদুল মোল্লা (৩০) মামুন শরীফ (৩২), বাবু মোল্লা (৩০) ও মো. জুয়েল মোল্লা (২৪)। থানায় অভিযোগকারী ভুক্তভোগী তরুণীকেও থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামের আকরাম খাঁন নামের এক টিকটকার ঐ ভুক্তভোগী তরুণীকে (২০) একটি নতুন টিকটক ভিডিও তৈরির প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে ঐ ভুক্তভোগী তরুণীকে বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ভাঙ্গায় নিয়ে আসে সে। ঘটনায় আকরামের সহযোগী ছিল মধুখালী উপজেলার জুয়েল মোল্লাসহ অজ্ঞাত আরও এক যুবক।
বাবলাতলা গ্রামের নির্জন এক বাড়িতে আটকে রেখে ওই তরুণীকে প্রথম দফায় ধর্ষণ করে আকরাম হোসেন। এরপর সেখান থেকে ওই তরুণীকে নিয়ে আকরাম ও তার সহযোগী দুই যুবক শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাবলাতলা বাজার সংলগ্ন একটি বিউটি পার্লারে ওঠে।
বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে চুমুরদী ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার আনারুদ্দিন মোল্লার ছেলে ছাইদুল মোল্লাসহ ৫ থেকে ৬ জন সহযোগি মিলে তরুণীকে আটকে রাখে। শুক্রবার গভীর রাতে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ইউপি সদস্যের ছেলে ছাইদুল মোল্লা ও তার সহযোগী ৫ থেকে ৬ জন যুবক ঐ তরুণী ও আকরামকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরে ঐ তরুণীর অশ্লীল ভিডিও দিয়ে আকরাম ও ঐ তরুণীর কাছে চাঁদা দাবি করেন ইউপি সদস্যের ছেলে ও তার সহযোগীরা।
চক্রটির হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু টাকাও দেয় তরুণী ও আকরাম। ছাড়া পেয়ে ওই তরুণী ও আকরাম পৌর সদরের কিছু লোকের সহায়তায় রাতেই ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে রাতেই ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক কর।