নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে সাক্ষী হাজির হয়ে জবানবন্দি প্রদান করেন। তবে এদিন তার জবানবন্দি শেষ হয়নি। আগামী ২৯ জানুয়ারি অবশিষ্ট জবানবন্দি এবং জেরার জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া হাজিরা দাখিল করেন। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভুইয়া ও আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।