সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর ৫ দিনের রিমান্ডে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/anam_1.jpg)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাইয়ুম হত্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন এ আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনামুর রহমানের ১০ দিন রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এদিন সকালে কারাগার থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপরে তাকে কড়া নিরাপত্তায় চিফ জুডিসিয়াল আদালতে তোলা হয়।
রিমান্ড আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালানো হয় সাভার ও আশুলিয়া এলাকায়। আশুলিয়ায় ৪১ জন এবং সাভারে ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো তার (এনামুর রহমান) নির্বাচনি এলাকায়। এ আসামির ছত্রছায়ায় এসব ঘটনা ঘটেছে। তিনি ধনাঢ্য ব্যক্তি। টাকা দিয়ে এসব অপকর্ম করিয়েছেন। লাশে গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসবের দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আদালত আমরাও চাই, মামলার তদন্তভার ঠিকভাবে হোক। বয়স বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিলের আবেদন করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, পুলিশের পেছনে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আহতদের চিকিৎসাও করতে দেয়নি তারা।
এ সময় ডা. এনাম আদালতে বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, তখন বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছি। আমি নিজে গিয়েছি। জুলাই থেকে অক্টোবর চার মাসে গুলিবিদ্ধ ২৯০ জনকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিয়েছি। ওষুধ, খাবার, অপারেশন করিয়েছি। জরুরি বিভাগ থেকে আহত ৫৭৬ জনকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। সব রেকর্ডে আছে। রানা প্লাজার ভবন ধসের সময় সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিককে চিকিৎসা দিয়েছি। এনাম মেডিকেল মানবিক হাসপাতাল।’
শুনানি শেষে বিচারক এনামুর রহমানকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিতে আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা জেলার সাভার বাসস্ট্যান্ডে ৫ আগস্ট দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী কাইয়ুম। এ ঘটনায় তার মা কুলছুম বেগম সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।