শরীয়তপুরের বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীগুলো গাজীপুরের সাফারি পার্কে

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি এলাকায় গোপনে পরিচালিত একটি মিনি চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধার হওয়া বিপন্ন ও বিরল প্রজাতির প্রাণীগুলো এখন ঠাই পেয়েছে গাজীপুরের সাফারি পার্কে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পার্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া বিপন্ন ও বিরল প্রজাতির প্রাণীগুলোকে পার্কের কোয়ারেন্টিন জোনে রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষণের পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাণীগুলোর স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো রয়েছে।
রফিকুল ইসলাম আরও জানান, অবৈধভাবে গড়ে তোলা এই মিনি চিড়িয়াখানার খোঁজ পেয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মীরা গতকাল সোমবার বিকেলে বিশেষ অভিযানে নামেন। তাঁদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় একটি কালো ভালুক, একটি মিঠা পানির কুমির, তিনটি বার্মিজ অজগর, আটটি শজারু, দুটি মেছোবিড়াল, দুটি বনবিড়াল, দুটি কালিম পাখি, ১০টি ঘুঘু, দুটি টিয়া এবং দুটি বালিহাঁস।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক ছানাউল্যা পাটওয়ারীর নির্দেশনায় অভিযানে ওই ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস, সাফারি পার্কের নবমিত্র অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
গোপনে পরিচালিত এই অভিযানের ওই কর্মকর্তারা জানান, ‘মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম নামের একটি শিশুপার্ক ও পিকনিক স্পটের মধ্যে গোপনে স্থাপিত মিনি চিড়িয়াখানায় এসব প্রাণীকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তারা।
উদ্ধার হওয়া কিছু প্রাণীকে সাফারি পার্কে রাখা হলেও বাকিদের প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।