গাছ ও ফুলের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা

গ্রিলে ঘেরা সুসজ্জিত ফুলের বাগান। বাগানের এক কোণে কাঁটা মেহেদী গাছ। আর সেই গাছগুলো কেটে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। সেখানেই আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে দেখা যায়।
শহীদ মিনারটিকে গাদা ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নান্দনিক এ শহীদ মিনারটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ব্যতিক্রম এ শহীদ মিনারটি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে তৈরি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে ইট-পাথরের পরিবর্তে গাছ ও ফুলে নির্মিত ব্যতিক্রম এ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস।
ইতোমধ্যে আলোচনায় আসা শহীদ মিনারটি দেখতে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শহীদ মিনার দেখতে আসা আল ইমরান বলেন, একজন শিক্ষকের সৃজনশীল এমন কাজ আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। উনার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
বিদ্যালয়টির সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি। সেই থেকেই বাগানে গাছ ও ফুল দিয়ে বিভিন্ন প্রতীক ও স্তম্ভ তৈরি করি। এর মধ্যে শহীদ মিনারটি অন্যতম। বাগানের প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দর্শনার্থীরাও অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়। এটিই আমার বড় প্রাপ্তি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনজুরুল হক মিয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে তৈরি শহীদ মিনারটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এর পেছনে যারা শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, গাছ ও ফুলের তৈরি শহীদ মিনারটি সত্যি প্রশংসার দাবিদার। ওই শিক্ষক বাগান করে ইতোমধ্যে সুনাম কুঁড়িয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য এটি একটি সৃজনশীল উদ্যোগ। আমি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।