সাদুল্লাপুরে চাষ হচ্ছে থাইল্যান্ডের সবজি বিটরুট

উত্তরাঞ্চলের সবজি-অধ্যুষিত এলাকা গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরে প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে থাইল্যান্ডের সবজি বিটরুট।
উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কঠাল-লক্ষ্মীপুর গ্রামের শিক্ষিত কৃষক আবুল নেছার লুলু। নিজের জমিতে নতুন বা বিদেশি ফল ও সবজি উৎপাদন করা তার দীর্ঘদিনের শখ। সেই আগ্রহ থেকেই থাইল্যান্ডের সবজি বিটরুট চাষ করেছেন লুলু। বিটরুটের এই জাতটি তিনি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে থাইল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষামূলক প্রথম বার ১০ শতাংশ জমিতে বীজ বপন করে যত্ন নিতে শুরু করেন। একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে হাইব্রিড খিরা চারা রোপণ করেন।
কৃষক আবুল নেছার লুলু জানান, রোপনের ৬৫ থেকে ৭০ দিন পর বিটরুট বাজারজাত করা যায়। প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বিটরুটের চাষাবাদ খরচ কম বলে বিঘা প্রতি প্রায় লাখেরও বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। বিটরুটের গাছ দেখতে অনেকটা পালংশাকের মতো হলেও রঙে ভিন্নতা রয়েছে। পাতা সবুজ ও লালচে ধরনের। নিচের মূল অংশটি দেখতে গাঢ় গোলাপি বা লালচে বেগুনি রঙের।
উপসহকারী কৃষি অফিসার ওমর ফারুক বলেন, আমরা শুরু থেকেই কৃষকদের কারিগরি সহায়তা দিয়েছি। সেইসঙ্গে বাজারজাতকরণের বিষয়ে সহযোগিতা করেছি। লাল রঙের বিটালেইন এন্টিঅক্সিডেন্টের কারণে স্বাস্থের ওপর ইতিবাচক প্রভাবের জন্য বিটরুট বিশ্বব্যাপী সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। এটি হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, বক্ষব্যাধিসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধে কার্যকরী। বিট সালাদ, সবজি, জুস হিসেবেও খাওয়া যায়।
সাদুল্লাপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বসুনিয়া বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো ১০ শতক জমিতে বিটরুট চাষ হয়েছে। এই উপজেলার মাটি বিটরুট চাষের জন্য উপযুক্ত। এটি লাভজনক ফসল। আগামীতে বিটরুট চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।