‘জামায়াত দুর্নীতিসহ যাবতীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন’

জামায়াত দুর্নীতিসহ যাবতীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন উল্লেখ করে সংগঠনটির সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, ‘জামায়াতের দুজন শীর্ষ দায়িত্বশীল শহীদ আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি ও অনিয়ম মুক্ত করে দেশে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তৎকালীন সরকার তাদেরকে দুর্নীতির কোনো কালিমা লেপন করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি, অনিয়ম ও টেন্ডারবাজিসহ যাবতীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন।’
গতকাল রোববার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার বিরামপুর উপজেলার আদর্শ হাইস্কুল মিলনায়তনে দিনব্যাপী জেলা রুকন শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। দিনাজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় জীবন দিতে প্রস্তুত। জামায়াতে ইসলামীর ওপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সাড়ে ১৫ বছর জুলুম নির্যাতনের নির্মম স্টিম রোলার চালিয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের ১১ জন নেতৃবৃন্দকে বিচারিকভাবে শহীদ করে দেওয়া হয়েছে। শতশত নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। লক্ষাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে জেলখানায় নির্মমভাবে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। এরপরও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি অটল ও অবিচল থেকে আন্দোলন সংগ্রামের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
মাওলানা আবদুল হালিম আরও বলেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে সম্পন্ন করা দরকার। জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন দল প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের লোককে বিজয়ী করতে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করে। তাই স্থানীয় নির্বাচনের পরে অনিবার্য ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচারের পরেই জাতীয় নির্বাচন করা দরকার। অনতিবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি, জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন দিনাজপুর জেলা সাবেক আমীর মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক ও গ্রুপ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন—জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, সহকারী সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম সৈকত, জেলা তারবিয়্যাত সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আফজালুল আনাম, অধ্যাপক এস এম ইব্রাহীম, অফিস সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম খোকন, আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
শিক্ষা শিবিরে জেলার ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলার উপজেলা আমীর ও সকল রুকন উপস্থিত ছিলেন।