আমেরিকান চিয়া ও কিনোয়া চাষ হচ্ছে পঞ্চগড়ে

দক্ষিণ আমেরিকান ঔষধি গুণসম্পন্ন ফসল চিয়া সিড ও কিনোয়া। এটি এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি ইউটিউবে দেখে ১২ বিঘা জমিতে দক্ষিণ আমেরিকান ঔষধি গুণসম্পন্ন এই শস্য চাষ করছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার গরিনাবাড়ি ইউনিয়নের চারোখুড়া এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আমিনুর রহমান। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে চিয়া সিড ও কিনোয়া চাষ করেছেন। ভালো দাম ও উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় চিয়া সিড ও কিনোয়া বাংলাদেশে এখন দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। স্বাস্থ্য সম্মত ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ এই শস্য চাষকে ঘিরে জেলার কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তবে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
স্থানীয় চাষিরা জানান, উচ্চ গুণসম্পন্ন এই শস্য চাষে তারা আগ্রহী হলেও বাজারজাতকরণে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় চাষিদের। চিয়া সিড ও কিনোয়ার জন্য আলাদা বাজার ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় তারা সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। যদি দেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসে, তবে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের দাবি, স্থানীয় বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার।
চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইউটিউবে দেখে ১২ বিঘা জমিতে চিয়া সিড ও কিনোয়া চাষ করেছি। তবে স্থানীয়ভাবে বাজার ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় একসঙ্গে বিক্রি করতে পারছি না। এটা একটা বড় সমস্যা। যদি একসঙ্গে বিক্রি করতে পারতাম, একসঙ্গে টাকাটা পেতাম। আমাকে আসতে আসতে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এই চিয়া সিড ও কিনোয়া চাষে অন্য ফলসের চেয়ে বেশি লাভ ও খরচ কম হয়।’

এ বিষয়ে পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, ‘চিয়া সিড ও কিনোয়া চাষিদের আমরা সহায়তা করছি। চিয়া সিড ও কিনোয়া চাষি আমিনুর রহমানকে দেখে এখন অনেকে এই বিদেশি ফসল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। যদি দেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসে, তবে চাষিদের আগ্রহ বাড়বে।’
আব্দুল মতিন আরও বলেন, পঞ্চগড়ের মাটি ও আবহাওয়া চিয়া সিড ও কিনোয়ার মতো সুপার ফুড চাষের উপযোগী। এই ফসল চাষ লাভজনক হওয়ায় নতুন চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।