কালী মন্দিরের পূজারীদের সহায়তা করছে ‘মার্চ ফর গাজা’র স্বেচ্ছাসেবকেরা

ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানী ঢাকার রাজপথে। আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের পুরো অঞ্চলে যান তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, রমনা পার্ক, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট—সর্বত্রই প্রতিবাদী মানুষের স্লোগান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশেই রয়েছে রমনা কালী মন্দির। মন্দিরে আগত পূজা-অর্চনাকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে মার্চ ফর গাঁজার স্বেচ্ছাসেবকেরা।
মিরপুর থেকে আসা জয়দেব বলেন, ‘আমাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। আমাদের জন্য পৃথক সারি করে দিয়েছে যেন আমরা মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে পারি।’
আয়োজকরা বলেন, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ শান্তিপূর্ণ র্যালিসহ শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হবেন। বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। শপথ গ্রহণ করা হবে।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ গতকাল শুক্রবার তার ফেসবুকে পেজে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে সব শ্রেণি-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন উল্লেখ করে সবাইকে সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রেখে নিজের অনুষ্ঠান মেনে কর্মসূচি সফল করার সংকল্পে ঘর থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।