ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তিন বছর কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি সাত যুবক। এদের মধ্যে একজন পরোয়ানাভুক্ত আসামি রয়েছেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।

ফিরে আসা যুবকরা হলেন- রবিউল ইসলাম (২৮), ফয়সাল (৩০), মিন্টু বাড়ৈ (৩২), আয়নাল মাতব্বর (৩৫), রিপন খলিফা (৩৫), শহিদুল শেখ (৩৩) ও আলামিন হোসেন (২৬)। তারা যশোর, নড়াইল, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বরিশাল জেলার বাসিন্দা।

ফেরত আসা রিপন খলিফা জানান, ভালো কাজের আশায় দালালচক্রের মাধ্যমে তারা সাড়ে তিন বছর আগে ভারতের কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সেখানকার আদালত তাদের তিন বছর কারাদণ্ড দিয়ে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। কারাভোগ শেষে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের দায়িত্ব নিয়ে শেল্টার হোমে রাখে। পরে উভয় দেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ সন্ধ্যায় তারা দেশে ফেরেন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারত ফেরত সাত বাংলাদেশি যুবককে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ফয়সাল নামের একজন পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানায় অস্ত্র মামলা রয়েছে। তাকে আগামীকাল যশোর আদালতে সোপর্দ করবে পোর্ট থানা পুলিশ। বাকি ছয়জনকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও সংস্থা নিজেদের দায়িত্বে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসা ছয়জনকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।