কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে কৃষক ও শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহতদের মধ্যে মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুরে বজ্রাঘাতে দুই কৃষক, বরুড়া উপজেলার পয়ালগুচ্ছ গ্রামে দুই শিশু ও দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নে একজন শিশু মারা গেছে।

এই পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের জমিতে কৃষি জমি থেকে পাকা ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন—পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত বীর চরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৫৫) ও উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩২)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম জানান, কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে কৃষকরা ধান কাটার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় আকস্মিক বজ্রাঘাতে তাদের গ্রামের নিখিল ও দেওড়া গ্রামের জুয়েল মারা যান।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সোমবার দুপুরে কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার হরিপুর পয়ালগুচ্ছ গ্রামে বজ্রাঘাতে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু হলো ফরহাদ হোসেন (১২) ও সাইমন হোসেন (১২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু-এমং মারমা মং।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে পয়ালগুচ্ছ গ্রামের মাঠে ঘুড়ি উড়াতে গেলে ওই দুই শিশু বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিনে দেবিদ্বারের ভানী ইউনিয়নের সাহারপাড়ে বজ্রাঘাতে ১০ বছর বয়সী মীম আক্তারের মৃত্যু হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।