জবি শিক্ষার্থী অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা : প্রেমিক কারাগারে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় প্রেমিক ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা অনুপম দাস এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল বুধবার ইয়াছিন মজুমদারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অনুপম দাস বলেন, গতকাল বুধবার আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে অথৈয়ের বাবা প্রণব মজুমদার রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ইয়াছিন মজুমদারকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, অথৈ ও মো. ইয়াছিন মজুমদারের বাড়ি পাশাপাশি। তারা একই স্কুলে পড়াশোনা করতেন। সেখান থেকেই ইয়াছিন অথৈকে উত্ত্যক্ত করতেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সূত্রাপুর এলাকায় বসবাস শুরু করেন অথৈ। ইয়াছিনও ঢাকায় চলে এসে লালবাগ জমিদারী ভোজ রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেন। এবং আগের মতোই অথৈকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এরপর কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন তাঁকে গালমন্দ করেন এবং উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেন। মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে অথৈ মেসের রুমে চলে যান। কিছুক্ষণ পর ইয়াছিন রুমের সামনে গিয়ে অন্যদের দিয়ে তাঁকে ডাকেন। সাঁড়া না পেয়ে মেসের মালিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগমের উপস্থিতিতে ইয়াছিন রুমের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে অথৈকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।