গুচ্ছগ্রামে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটছে ১০ পরিবারের

কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরারচরের গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণের কয়েক বছর পরই থেকেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৩০ বছর, কিন্তু একবারও ঘরগুলো সংস্কার করা হয়নি। ওই গুচ্ছগ্রামে মানবেতর জীবনযাপন করছে ১০ দরিদ্র পরিবার। চলমান কালবৈশাখী মৌসুমে ঝড়ো হাওয়ায় যেকোনো সময় ঘর ভেঙে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনের ছাউনিগুলো মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে, দরজা-জানালা ভেঙে গেছে, বেড়ার টিন খুলে পড়ছে। বহু আগেই সিমেন্টের খুঁটিগুলো ধসে পড়েছে। একটি ১০ কামরার ঘর যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। চাল ও বেড়া পলিথিন দিয়ে ঢাকা, মেঝে ও বারান্দা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারীরা জানান, নলকূপগুলো অকেজো হয়ে যাওয়ায় নিজেদের খরচে মেরামত করে পানি সংগ্রহ করছেন। একমাত্র পুকুরটি ভরাট হয়ে নোংরা পানিতে পরিণত হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েছে। অধিকাংশ পরিবারই দিনমজুর। ফলে নিজেরা ঘর মেরামতের সামর্থ্য রাখেন না। কেউ কেউ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সামান্য মেরামত করলেও তা টেকসই হয়নি।

এলাকাবাসীর দাবি, কালবৈশাখীর এই ঝড়ের মৌসুমে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত সরকারি সহায়তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসনাত খান বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো কীভাবে সংস্কার করা যায়, সে বিষয়ে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। যাতে তারা সামনে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারেন।’