কোটালীপাড়ায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ

দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষার্থে ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫৫ জন মৎস্যজীবীর হাতে বকনা বাছুর তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মঈনুল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান, উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম, সমাজসেবা অফিসার রাকিবুল হাসান শুভ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনসার আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান বলেন, মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১২০ জন জেলেদের জন্য ১২০টি বকনা বাছুর আনা হয়েছিল। প্রতিটি বাছুরের ওজন ৮০ কেজি থাকার কথা থাকলেও ওজন কম থাকায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ৬৫টি বাছুর ফেরত দিয়ে ৫৫টি বাছুর আমরা বিতরণ করেছি।
এস এম শাহজাহান আরও বলেন, আগামীতে সঠিক ওজনওয়াল বাছুর সরবরাহের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট ডিজিটাল টেকনোলজিকে বলা হয়েছে। এই বকনা বাছুর আসার পরে বাকি জেলেদের মাঝে ৬৫টি বাছুর বিতরণ করা হবে।
তারাশী গ্রামের মৎস্যজীবী সাইফুল শেখ বলেন, ওজন কম থাকায় ৬৫টি বাছুর ফেরত দিয়েছে মৎস্য অফিস। যে কারণে আমি বাছুর পাইনি। যেখানে সকল কাজে দেখা যায় দুর্নীতির ছায়া সেখানে মৎস্য বিভাগ আজ যেভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাছুরগুলো বুঝে নিয়েছেন তাতে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। সরকারি সকল দপ্তরের যদি কর্মকর্তারা এ ভাবেই সকল অনিয়মের প্রতিবাদ করে তাহলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে ও দেশ থেকে দুর্নীতি কমে যাবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। জেলেরা এই বাছুরগুলো সঠিকভাবে লালনপালন করলে স্বাবলম্বী হবে।