বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আর আসবে না : শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘পৃথিবীতে যারা গণহত্যার পার্টি তারা কখনো আর রাজনীতির সুযোগ পায়নি। আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, তার নেতা-নেত্রীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ আর কখনো বাংলাদেশে আসবে না।’
আজ শনিবার (১০ মে) বিকেলে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী এফ এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পার্টি হচ্ছে বিএনপি। ফেসবুকে পোস্ট করে কিংবা রাস্তায় জনদুর্ভোগ তৈরি করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যায় না। কোনো কিছু করতে চাইলে আমাদের অফিসে এসে আলাপ করতে পারে। একটা প্রেস ব্রিফিং দিয়ে আন্দোলন করার অবস্থা এখন বাংলাদেশে নেই। সেজন্য আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অপকর্ম ও গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আইনের মাধ্যমে তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশে নির্বাচন দিলে এমনিতেই আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আন্দোলনের নামে একবার শাহবাগে যাওয়া, একবার যমুনায় যাওয়া এবং মানুষকে বিরক্ত করা; এগুলো যৌক্তিক কাজ নয়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলত, বঙ্গবন্ধু কন্যা পালায় না, তার বাবাই একটা খুনি। দুর্ভিক্ষ করে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, রক্ষীবাহিনীর নামে একচল্লিশ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।’
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত, এটি তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পাক-ভারত যুদ্ধ বাংলাদেশে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বর্তমান সরকারের উচিত যুদ্ধের দিকে মনোযোগী না হয়ে নির্বাচনের দিকে নজর দেওয়া।’
টিউলিপ সিদ্দিকীর অর্থ পাচার নিয়ে বিএনপিনেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে, এই টাকা এখন বাঁচাতে হবে, মন্ত্রী পর্যন্ত উঠেছিল ব্রিটিশরা তাকে ঘাড় ধরে নামিয়ে দিয়েছে। তার খালা, মা চুরি করেছে, সে-ও একটা চোর, এতবড় একটা চোর পরিবার পৃথিবীতে আর নেই। মুজিব চোর, মুজিবের ছেলে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত হিসেবে বিশ্বে পরিচিত পেয়েছিল।’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান বাবুল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু, জিল্লুর রহমান তরফদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহমেদ খান লোটন, ধর্ম বিষয়ক সহসম্পাদক মাসুদ খান, মাদারগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। দীর্ঘ ১৭ বছর পর মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত।