নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না : ডিআইজি রেজাউল করিম

নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠন যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দমন করার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক।
আজ রোববার (১১ মে) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এসময় রেঞ্জের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
গেল সরকারের আমলে কিছু পুলিশ সদস্যের বিতর্কিত ভূমিকার কথা উল্লেখ করে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাহিনীকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডিআইজি বলেন, ‘ঢাকা রেঞ্জের প্রত্যেকটি থানা হবে ভুক্তভোগীদের প্রথম ভরসাস্থল। রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলার ৯৮টি থানার মানুষ যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসতে পারবেন। তাছাড়া ঢাকা রেঞ্জের যেকোনো অপরাধের তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি জনগণকে সহায়তা দিতে ‘টক টু ডিআইজি’নামে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা হবে। এতে ঘরে বসেই মানুষ সেবা নিতে পারবেন।’
ডিআইজি আরও বলেন, ঘুষ-বদলি কারবারসহ কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে তার রেঞ্জে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দমনপীড়নকারী; যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং মামলার তদন্তে যারা দোষী, তাদেরকে দোসরসহ গ্রেপ্তার করতে হবে।
ডিআইজি রেজাউল বলেন, সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পান, সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন—তাদেরকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
ডিআইজি রেজাউল আরও বলেন, প্রতিটি জিডি, অভিযোগ ও মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করবে দক্ষ একটি টিম। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসিটিভি সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
মনিটরিং সেন্টারগুলোতে সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান। এ সময় ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গণঅভ্যুত্থানে দায়ের করা মামলাগুলো নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়র জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন নবনিযুক্ত এই ডিআইজি। থানাগুলোর কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তিনি ঢাকা রেঞ্জের সাধারণ জনগণকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।