শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৮ জনকে অব্যাহতি

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ তাদের রূপপুর প্রকল্প এলাকা ও গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চাকরিচ্যুত এই ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) অধীনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে গতকাল শনিবার (১০ মে) রাতে ই-মেইলের মাধ্যমে এই আদেশ ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও অবহিত করা হলে বিষয়টি সামনে আসে।
বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলেন—ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট হাসমত আলী (প্রধান কার্যালয়), ঊর্ধ্বতন সহকারী ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম, আবু রায়হান, রফিকুল হাসান, আয়নাল হোসেন, নাঈম আল সাকিব, আবু সাঈদ, এ কে এম আব্দুল আল আমিন, শাহ ইখতিয়ার আলম, ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল আল নোমান, আসিফ খান, মুহাম্মদ ইমামুল আরেফিন, ইকরাম, রুহুল আমিন, উপসহকারী ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন, রুবেল হোসেন ও টেকনিশিয়ান ফিরোজ আহমেদ।
অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এনপিসিবিএলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এই ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোম্পানির চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় ও গ্রিন সিটিতে তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পৃথকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদ হাছান বলেন, নীতিমালা ও চাকরিবিধি অনুযায়ী অব্যাহতিপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।