বিএডিসি সেচপ্রকল্পে কৃষকের ভাগ্যবদল, এক ফসলি জমিতে হচ্ছে তিন ফসল

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ প্রকল্পের সুফল ভোগ করছেন কৃষকরা। শুষ্ক মৌসুমে অল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা পাওয়ায় এক ফসলি জমি রূপান্তরিত হচ্ছে দুই ও তিন ফসলি জমিতে। ফলে বেড়েছে ধানের উৎপাদন, কমেছে উৎপাদন খরচ।
কৃষকরা জানান, সময়মতো সেচ পাওয়ায় এবার বোরো মৌসুমে ধানের শীষ ভালো হয়েছে, রোগবালাইও কম ছিল। তারা চান, অকেজো ১৪টি গভীর নলকূপ পুনরায় চালু করে আরও এলাকাকে সেচ সুবিধার আওতায় আনা হোক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২৭টি এবং ব্যক্তি মালিকানার ১৯৫টি বিদ্যুৎচালিত পাম্পের মাধ্যমে সেচ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫৫ হেক্টর, চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬৫ হেক্টরে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন।
দিলালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, আগে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় উৎপাদন অনেক কম ছিল। এবার এক একরে ৫ থেকে ৬ মণের জায়গায় ২৫ থেকে ২৬ মণ ধান পেয়েছি।
আরেক কৃষক আব্দুল বারী জানান, ব্যক্তিগত গভীর নলকূপে সেচ দিতে অনেক খরচ হতো। এখন অল্প খরচে বেশি ফলন হচ্ছে।
বড়াইগ্রাম জোনের বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, সরকার কৃষকের পাশে আছে। মনিটরিং ও পরামর্শ দিয়ে ফলন বাড়াতে সহায়তা করছি। আগামীতে আরও এলাকা এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় জানান, সেচের পাশাপাশি আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি শেখাতে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন। ফলে সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির ব্যবহার কৃষকদের ফলন বাড়াতে সহায়তা করেছে।
ক্যাপশন
ফসলের মাঠে বসানো হয়েছে বিএডিসি সেচ পাম্প। ছবি : এনটিভি