অন্ধকারে আলো জ্বালালেন রাসেল, অনুদানে বাঁচালেন চার জীবন

নাটোরের গুরুদাসপুরে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আমেরিকার ওকলাহোমা প্রবাসী ব্যবসায়ী রাসেল হোসাইন। চারজন অসহায় মানুষের চিকিৎসা ও জীবনের সংকটে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন- মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এখনও আছে, সহানুভূতি ও মহানুভবতা এখনও জেগে আছে।
ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রঞ্জনা রানী মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষ না করেই অর্থাভাবে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেই খবর দেখে রাসেল হোসাইন ছুটে আসেন সাহায্যে। তার পক্ষ থেকে বাবা মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম ও ছোট ভাই গোলাম রাব্বানী ৬ লাখ টাকা রঞ্জনার হাতে তুলে দেন।
বিলহরিবাড়ীর কৃষক বুদ্ধু মিয়া চিকিৎসার অভাবে পঙ্গু হতে বসেছিলেন। রাসেলের সহায়তায় ৪০ হাজার টাকা পেয়ে তার আবার সুস্থ হওয়ার আশা জেগেছে। এক চোখের আলো হারানো নারী শ্রমিক আমেনা বেগমের চোখের অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ হাজার টাকাও দেন রাসেল। অন্যদিকে, সন্তানহীন বিধবা সুকজানের জীবনযুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়ে রাসেল হোসাইন দেন আরও ৩০ হাজার টাকা।
রঞ্জনা রানী বলেন, “রাসেল ভাইয়ের সাহায্যে আমার থেমে যাওয়া চিকিৎসা আবার শুরু হলো। উনি আমার জীবনের ফেরিওয়ালা।”
কৃষক বুদ্ধু মিয়া বলেন, উনি (রাসেল) না থাকলে হয়তো পা হারিয়ে ফেলতাম।
রাসেল হোসাইন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মানুষ মানুষের জন্য। দূরে থেকেও দেশের মানুষের পাশে থাকতে পারা আমার সৌভাগ্য।
রাসেলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলের এই কাজ দেখে গর্বে বুক ভরে ওঠে। মানুষের মুখে হাসি ফিরেছে- এই শান্তির চেয়ে বড় কিছু নেই।