বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। তাই জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে হবে।

আজ বুধবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘ছাত্রদের যে শক্তি সেই শক্তি, কিন্তু আমাদের নেই। সেই শক্তি আছে বলেই তারা সামনে এগিয়ে গেছে। জুলাই আন্দোলনের যে অর্জন, সেটি ছাত্রদের। আমরা সেই কথা গর্বের সঙ্গে বলি। তবে বিগত ১৫ বছর সংগ্রাম করে এ অর্জনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। কাজেই গৌরবময় অর্জন ধরে রাখতে হবে।’

ছাত্ররা দেশ পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থ হলে ১৮ কোটি মানুষ, তথা বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে আমরা একটি নতুন স্বাধীণতা পেয়েছি। আগামীতে দেশ পরিচালনায় তারাই নেতৃত্ব দেবে। তাই সবাইকে দায়িত্ব গ্রহণে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, না হলে সঠিক দেশ ভুল পথে পরিচালিত হবে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. মঈন খান বলেন, ‘বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে হলে লেখাপড়া করে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সময়কে মূল্য দিয়ে মনোনিবেশ করতে হবে পড়াশোনায়। সাহস করে সত্যি কথা বলতে হবে। তোমরা দেশ পরিচালনা করে দেশকে মঙ্গলের পথে নিয়ে যাবে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করবে। কিন্তু সেজন্য সঠিক প্রস্তুতি নিতে তোমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে। সঠিক শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে পুনরায় ফিরে আসতে হবে।’

মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি নূর মোহাম্মদ আব্দুল মুকিত টিংকুর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আলমগীর হোসেন ও বিশিষ্ট সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ অন্যান্যরা। এতে বিশেষ অতিথি অতিথি ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক খন্দকার রুহুল ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-আয়োজক নাজমুন নাহার বেবী।

অনুষ্ঠানে সালমান হোসেন, সাবরিন আলম, ফাহমিদা আক্তার, মোহনা আক্তার, রেহেনামু বিনতে হোসেন, মারিয়া আক্তার, উসরাত প্রিয়তমা, জেরিন রহমান, সামিয়া ইসলাম, মনিকা আক্তার, আফসানা ইসলাম, নুরে জান্নাত আঁখি, জান্নাত আক্তার, ইশানি গো, অরপিতা চৌধুরী, সিলভিয়া জামান, মাহফুজা আক্তার, আফরোজা ইসলাম, রাইসাতুল অর্পাসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে মেডেল ও সনদ দেওয়া হয়।