কোরবানির পশুর চামড়া কিনে ক্ষতির শিকার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

দিনাজপুরে কোরবানির পশুর চামড়া কেনা-বেচায় ধ্বস নেমেছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়ার কেনা দাম না পেয়ে বিক্রি করে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়া ঠাকুরগাঁও হয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে। দিনাজপুরের একমাত্র চামড়ার মোকাম দিনাজপুর সদরের রামনগর চামড়ার বাজারে ঈদের দিন সকাল থেকেই চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়।
চামড়া বিক্রি করতে এসে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। কেনা দাম না পেয়ে লোকসানে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে তাদের।
প্রতিটি বড় আকারের গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। ছোট চামড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে কিনেছেন। এতে করে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে জানান, দিনাজপুরের পুলহাট হয়ে কোরবানির চামড়া ঠাকুরগাঁও দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে। এবার চামড়ার আমদানি অনেক কম।
অনেক চামড়া ব্যবসায়ী আবার ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া টাকা না পাওয়ায় চামড়া কেনাবেচায় সমস্যার হচ্ছে বলে জানান। এদিকে খাসির চামড়া বিক্রি না হওয়ায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।
দিনাজপুর চামড়া মালিক গ্রুপের সভাপতি আখতার হোসেন জানান, রামনগর চামড়ার বাজারে আগে এক থেকে দেড় লাখ পিস চামড়া কেনা হতো। এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার পিস। ট্যানারি গ্রুপের সিন্ডিকেটের কারণে জেলা পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীরা অর্থাৎ আড়তদাররা সব সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আসছেন। ট্যানারি মালিকরা বিপুল অংকের টাকা বকেয়া রেখেছে। এই টাকা তারা ইচ্ছামত পরিশোধ করছে। ফলে জেলা পর্যায়ের আড়তদাররা ইচ্ছা থাকলেও ঠিকমতো চামড়া কিনতে পারেন না। ট্যানারি মালিকদের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়।
এদিকে দিনাজপুর ৪২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মুইন হাছান বলেছেন, দিনাজপুরের সীমান্ত দিয়ে কোরবানির চামড়া পাচার রোধে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।