মার্কিন মদদেই ইরানে ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলা : সাইফুল হক

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ইরানের পরমানু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।
আজ রোববার (১৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সাইফুল হক।
সাইফুল হক আরও বলেন, গাজাসহ ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার মাঝেই ইরানে এই ব্যাপক সামরিক হামলা ইসরায়েলের চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ অপরাধের বহিঃপ্রকাশ। ইসরায়েলের এই যুদ্ধবাদী আগ্রাসী তৎপরতা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে মারাত্মকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
সাইফুল হক বলেন, ইসরায়েলের এই বেপরোয়া আগ্রাসী তৎপরতার পেছনে রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ। বস্তুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মদদের কারণেই গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আগ্রাসী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে আরব দুনিয়ার বিভক্তির সুযোগ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি হিসেবে নিজেদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
বিবৃতিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, এশিয়ার এই অঞ্চলে মার্কিনিদের প্রধান সামরিক আউটপোস্ট হিসেবে ইসরায়েলকে গড়ে তোলা হয়েছে। এ কারণে ফিলিস্তিনসহ আরব দুনিয়ার দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বেপরোয়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ও যুদ্ধাপরাধকে নানাভাবে দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘকে এরা পুরোপুরি ঠুটোঁ জগন্নাথে পরিণত করেছে।
সাইফুল হক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার সহযোগিতা বন্ধ না হলে ইসরায়েলি এই আগ্রাসী সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করা কঠিন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে ইসরায়েলের এই আগ্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধ করা না গেলে এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা না গেলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে না, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও নিশ্চিত করা যাবে না।
সাইফুল হক ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি অবিলম্বে ইরানে ইসরায়েলের হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসারও উদাত্ত আহ্বান জানান।