যেকোনো সময় ভোটার তালিকাভুক্তির ক্ষমতা চায় ইসি

বছরের যেকোনো সময় যেন ভোটার তালিকায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, আইনে এমন পরিবর্তন চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটার তালিকা, কোন পর্যন্ত সময়সীমা নিয়ে ভোটার করা হবে; এছাড়া যারা নির্বাচনে ভোট দেবেন—এসব সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন আনার জন্য আমরা একটি প্রস্তাব করেছি। সেখানে বলেছি কমিশন যৌক্তিক বিবেচনায় যে সময়টা মনে করবেন যে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেই যৌক্তিক বিবেচনাটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে তারিখ ঠিক করবেন।’
ইসি সচিব আরও বলেন, এই যৌক্তিক বিবেচনাটা কিসের ভিত্তিতে হবে, এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এটা স্বাভাবিকভাবে আসতে পারে যে কবে ভোট হবে এবং ভোটের আগে তফসিল, তফসিলের আগে প্রতীক বরাদ্দ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কাটআউট পয়েন্ট দাখিল করবে কমিশন। এ সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
বর্তমানে ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর দাবি-আপত্তি আহ্বান করে তা নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ২ মার্চ। অর্থাৎ, ১ জানুয়ারির পর কেউ ভোটার হলে তাকে নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। আইনে সংশোধন হলে কমিশন যেকোনো সময় ভোটার তালিকায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
ইসি সচিব বলেন, ৭৬টি আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ চেয়ে আবেদন এসেছে। এসব নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে আখতার আহমেদ আরও বলেন, নিবন্ধনের জন্য ১৪৭টি আবেদন পাওয়া গেছে। তিন দলের একাধিক আবেদন থাকায় মোট ১৪৪টি দল আবেদন করেছে। ২০ জন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসব আবেদনের প্রাথমিক পর্যালোচনার জন্য।
আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনি প্রতীকের সংখ্যা বাড়বে। এজন্য তফসিল সংশোধন করতে হবে। তবে সেখানে যোগ করার আগেই দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি কোর্টের আদেশে জামায়াতকে দেওয়া হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি চলমান প্রক্রিয়া। সব কার্যক্রম চলছে।