হত্যা মামলার সাক্ষীকে অপহরণ, সাবেক ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬

নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে একটি হত্যা মামলার সাক্ষী রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে পূর্বাচলের ভোলানাথপুর ১৩নং সেক্টর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহৃত ও ভুক্তভোগী সাক্ষী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ভোলানাথপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন - নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভোলানাথপুর এলাকার বাসিন্দা রাসেল (বর্তমানে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত), একই এলাকার সাব্বির হোসেন, রনি মিয়া, শান্ত, রনি ও শিমুল ওরফে শিপলু।
ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জানান, ২০১৮ সালে ভোলানাথপুর এলাকার রাকিব মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় যুবতীর পিতা রাকিব মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দায়েরকৃত মামলায় আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এরপর থেকে মামলার আসামিরা তাকে বিভিন্নভাবে বাদীর মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।
রাশেদুল ইসলাম আরও জানান, এই হুমকির জের ধরেই গত শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল, সাব্বির হোসেন, মো. রনি মিয়া, শান্ত, রনি, শিমুল ওরফে শিবলু, ইকবাল ওরফে মাক্কু, মফিজুল, দিলার হোসেন বায়েজিদসহ অজ্ঞাত সাত থেকে আটজন মিলে অস্ত্রসহ তার বাসায় আসে। তারা রাশেদকে জোর করে গাড়িতে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছে ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে তারা রাশেদের পরিবারের কাছ থেকে নগদ তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। এ সময় তারা রাশেদের হাতে থাকা একটি হীরার আংটি কেড়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর তিনি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এক যুবতী হত্যা মামলার সাক্ষী রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর বাড়িতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপহরণকারীদের শনাক্ত করা হয়। এরপর আজ দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।