মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীর ভিডিও অপসারণের নির্দেশ

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (২৯ জুন) এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ১৪ জুলাই এ ঘটনায় হওয়া মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরুন্নবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে বাবার বাড়ির পাশে পূজা হচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়েছিলেন, তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। আনুমানিক রাত ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন
গত শুক্রবার (২৭ জুন) কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মূল আসামি ফজর আলীকে আজ রোববার ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে। তারা হলেন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।