কুমিল্লার হোমনায় বজ্রাঘাতে দুই বোনসহ তিনজনের মৃত্যু

কুমিল্লার হোমনায় বজ্রাঘাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা।
নিহতদের মধ্যে জাকিয়া ও মমতাজ আপন দুই বোন এবং অপর এক ব্যক্তি রাশেদ মিয়া।
জানা যায়, রোববার বিকেল ৩টার দিকে ভবানীপুর ঘাটে খেয়া পারাপারের জন্য তারা অপেক্ষা করছিলেন। এসময় বজ্রপাতের কবলে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। দুই নারীর বাড়ি নালা দক্ষিণ গ্রামে আর রাশেদের বাড়ি খোদেদাউদপুর গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, হোমনা উপজেলার তিতাস নদীর ভবানীপুর ঘাট থেকে ঝগরার চর যাওয়ার সময় যাত্রীরা ঘাটে অপেক্ষারত অবস্থায় বজ্রপাতের শিকার হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই নারী মারা যায়। অপর এক পুরুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জীবন বিশ্বাস জানান, বজ্রাঘাতে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় নিহত তিনজনের মরদেহ গতকাল হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রাশেদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। অন্যদিকে বজ্রাঘাতে মারা যাওয়া দুই নারী জাকিয়া আক্তার (২৫) ও রোকাইয়া আক্তার (২০) এর দাফন আজ হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার জানান, নিহতদের প্রত্যকের দাফন কার্য সম্পন্ন করার জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।