গ্রাহকের ১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ‘মিস্ট্রাল এআই’

পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘মিস্ট্রাল এআই’ নামে একটি অনলাইন প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে দুই হাজারেরও বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিনিয়োগের নামে এই অর্থ সংগ্রহ করে চক্রটি সম্প্রতি গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গতকাল শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঈশ্বরদী শহরের রেলওয়ে গেট এলাকায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে মানববন্ধন ও পথসভা করে প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা এ অভিযোগ করেন। এর আগে, তারা ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত জুন মাসে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় একটি জমকালো সেমিনার। সেখানে প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজেদের ‘মিস্ট্রাল এআই’ নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, এটি গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বিল গেটস’র প্রধান সমন্বয়ে পরিচালিত। অংশগ্রহণকারীদের জানানো হয়, এই প্ল্যাটফর্মে মাত্র ৪০ দিনে আসল টাকার কয়েক গুণ লাভ এবং প্রতিদিন বোনাসসহ সুখী ও সচ্ছল জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
এই প্রলোভনে পড়ে ঈশ্বরদী ও আশপাশের এলাকার এক হাজার ৮৮৭ জন সদস্য বিভিন্ন অঙ্কে টাকা বিনিয়োগ করেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, প্রতারণায় জড়িতরা হলেন- উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বাদল হোসেন খান মাহফুজ, আব্দুল বারেক খান, বিপ্লব খান, ঈশ্বরদী পৌরসভার ইয়াছিন হোসেন, সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী গ্রামের জাহিদ হাসেন এবং নাটোরের বড়াইগ্রাম গড়মাটি গ্রামের ফারুক হোসেন।
এদের মধ্যে ইয়াছিন হোসেন বলেন, আমিও প্রতারণার শিকার। আমাকে তারা শুধু টাকা সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করেছে।
তবে অন্য অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায় এবং বাড়িতে গিয়েও তাদের সন্ধান মেলেনি বলে জানান গ্রাহকরা।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।