মাইলস্টোন ট্রাজেডি : রাইসা মনিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন

রাইসা মনি ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী (কোড-২০১০), সেকশন-স্কাই। নিখোঁজ রাইসা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামের শাহাবুল শেখের মেয়ে। শাহাবুল শেখ ঢাকার মিরপুর এলাকার একজন ব্যবসায়ী।
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে রাইসা মনিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ও হাসপাতালে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকা সিএমএইচে সংরক্ষিত ১১টি ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করে এই পাঁচজনের ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে রাইসা মনি।
সন্ধ্যায় রাইসার চাচাতো ভাই তারিকুল শেখ জানান, রাইসা মনি আর পৃথিবীতে নেই। রাইসা মনি ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বড় বোন ও ছোট একটি ভাই রয়েছে। রাইসার মরদেহ খুঁজে পেয়ে তার পরিবারে মাতম চলছে।
আরও পড়ুন : বিমান বিধ্বস্ত : এখনও নিখোঁজ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনি
চাচা ইমদাদুল শেখ বলেন, ‘রাইসা মনি আর বেঁচে নেই। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পেটের ওপর থেকে মাথা পর্যন্ত বেশি পুড়েছে। তবে তার মুখমণ্ডল দেখে তার বাবা রাইসা মনিকে শনাক্ত করেছেন।’
এরপর ডিএনএ নমুনা টেস্ট দেওয়ার জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের নমুনা রেখে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় রাইসা মনিকে।