কুষ্টিয়ায় ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার বাদ এশা কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাঁকে।

বিশিষ্ট চিন্তক ও লালন গবেষক ফরহাদ মাজহার, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মো. আরেফিনসহ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ, ভক্ত ও পরিবারের সদস্যরা জানাজায় অংশ নেয়। এর কিছুক্ষণ আগে ফরিদা পারভীনের মরদেহ কুষ্টিয়ায় পৌঁছালে তাকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য শতশত মানুষ ভিড় করে।

এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ফরিদা পারভীনের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তাঁর মৃত্যুতে কুষ্টিয়াসহ সারাদেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

গতকাল শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফরিদা পারভীন।

১৯৫৪ সালে নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। শৈশবেই সংগীত শিক্ষার হাতেখড়ি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সংগীতচর্চায় যুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুল সঙ্গীতের মাধ্যমে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে লালনের গান দিয়েই তিনি সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা। তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী।