দিনাজপুরে কমেছে চালের দাম

সরকারি বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে দিনাজপুরে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার, চকবাজার, বড়বন্দর ও পুলহাট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে চালের দামে এই পতনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভাই ভাই অটো-রাইস মিলের মালিক মো. সাদেক আলী জানান, ধানের বাজারে ধস নামার ফলে চালের দামও কমছে। গত এক সপ্তাহে ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
বাজারে জিরাশাইল চাল ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে নেমে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৩ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ৯৫০ টাকা, বিআর-২৯ চাল ২ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকা, সুমন স্বর্ণ ২ হাজার ৮৫০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা, বাসমতি চাল (২৫ কেজি) ২ হাজার ২৩০ থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা এবং সিদ্ধ সম্পা চাল ১ হাজার ৮২০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল ব্যবসায়ীরা জানান, দামের পতন হলেও ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। মিল গেটে দাম কমলেও বাজারে ক্রেতা নেই।
চাল কিনতে আসা একজন চালক নজমুল হক বলেন, এক কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা কম পাওয়ায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
ফাসিলা ধানের হাটে দেখা গেছে, ধানের দাম মণ প্রতি ৪০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, দিনাজপুরে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুদ রয়েছে। চাল আমদানির ঘোষণা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ফলে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। আগস্ট থেকে ৫৩ লাখ পরিবার এই কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে। এতে বাজার আরও স্থিতিশীল হবে।