বাগেরহাটের চারটি আসনই বহাল রাখার দাবি বিএনপি নেতার

বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির দাবি জানিয়েছেন, বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন যেন বহাল রাখা হয়। একটি আসনও যেন কমানো না হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের কাজী মনিরুজ্জামান মনির এসব কথা বলেন।
কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমার জন্মলগ্ন থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন দেখছি। আমি বাগেরহাট-৪ আসন, যেটা (কমিয়ে ফেলার প্রস্তাব) নাই হয়ে গেছে, সেখান থেকে এসেছি। আমার এখানে আসার একটাই কারণ, আমরা এমন একটি আসনে (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) থাকি, যেখানে অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা আছে, কিন্তু একটি সরকারি ভবনও যায়নি।
জেলা বিএনপির এই উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের ২০ শতাংশ রাস্তা এখন পর্যন্ত পাকা না। সেটা (সীমানা) যদি আরও বৃদ্ধি হয়, তাহলে আমাদের যে থোক বরাদ্দ, অন্যান্য উন্নয়নের যে বরাদ্দগুলো সেগুলো যথার্থভাবে যাবে না। সেটা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
কাজী মনিরুজ্জামান মনির তার দাবি তুলে ধরে বলেন, আয়তনে বড় এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয় না। এটাতে আমরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া পাব না। আমাদের এলাকার লোকজন বিভিন্ন জায়গায় থাকে এবং তারা সেখানেই ভোটার। তাই শুধু ভোটারের দিক চিন্তা করলে হবে না।
বাগেরহাটকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের এই এলাকা একটা পর্যটন এলাকা হতে পারে, পর্যটনশিল্প হতে পারে। সেটা বেহাত হবে। তাই আমি মনে করি, যেভাবে আছে সেভাবে আমাদের এই বাগেরহাটে চারটি আসনই যাতে থাকে। বিশেষ করে আমি মোরেলগঞ্জ-শরণখোলাকে বাগেরহাট-৪ আসনই রাখতে চাই, দেখতে চাই।
এর আগে গতকাল বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছিলেন, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোটার থাকায় এবং বাগেরহাটে ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি যথাক্রমে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানোর ও বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।