পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে গোয়ালন্দে ভাঙন অব্যাহত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানির মাত্রা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটসহ এলাকার কয়েকশ পরিবার ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত এই রুট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ যানবাহন পারাপার হয়। বর্তমানে দৌলতদিয়ার ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট ঝুঁকির মুখে, যেখানে ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।
জানা গেছে, উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে স্রোত তীব্র হয়ে যাওয়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে সময় ব্যাপক বেড়ে গেছে। ফেরিতে গাড়ি ওঠানো-নামানোতেও বিলম্ব হচ্ছে, ফলে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি বাড়ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দৌলতদিয়া প্রান্তের ৫ নম্বর ফেরিঘাট সম্প্রতি টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও মেরামত করা হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট বন্যার শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বর্তমানে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট দিয়েই ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
দৌলতদিয়ার ফাতে আলী জানান, গতকালই তার বাড়ি ভাঙনের তীব্রতায় নদীতে বিলীন হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, পানি বৃদ্ধির অব্যাহতিতে পুরো গ্রাম কয়েক দিনের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, ভাঙন শুরু হয়েছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং ইঞ্জিনিয়াররা এখন ভাঙন রোধে কাজ করছেন।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, শিগগিরই ফেরিঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে এবং স্থায়ী ভাঙনরোধ প্রকল্প গ্রহণের চেষ্টা চলছে।