শতাধিক মানুষের টাকা নিয়ে উধাও ‘জনকল্যাণ সংস্থা’

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে ‘জনকল্যাণ সংস্থা’ নামের একটি ভুয়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) শতাধিক ভুক্তভোগীর সঞ্চয় ৩০-৪০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সংস্থাটি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জামানতের নামে বিপুল অঙ্কের অর্থ আদায় করে হঠাৎ করেই গা-ঢাকা দেয়। এতে নিঃস্ব হয়েছেন শতাধিক পরিবার।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী, সোহাগ ও রোহান নামে পরিচয়দানকারী দুই ব্যক্তি গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকায় ১০ হাজার টাকা সঞ্চয়ের কথা বলে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন। তারা নিজেদের একটি স্বীকৃত উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে উপস্থাপন করে ব্যবসা, কৃষি, গবাদি পশু পালন ও নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য স্বল্প সুদে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রচার চালিয়ে আসছিল।
ঋণের আবেদনকারীদের কাছ থেকে প্রথমে নেওয়া হতো জামানতের টাকা। সঙ্গে রাখতে হতো জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জামানত রশিদ এবং অন্যান্য কাগজপত্র।
প্রতারকচক্র কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সদস্য সংগ্রহ করছিল। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তারা পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে ১২ আগস্ট রাতের সময়ে অফিস ভাড়া নিয়ে ডেকরেটর, টেবিল ও চেয়ার বসিয়ে অফিস চালু করে। কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। শতাধিক ভুক্তভোগী এ প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের গ্রামে তারা হঠাৎ এসে ঋণ দিতে চায় এবং স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে আমাদের সঞ্চয় আদায় করেছে। আমরা বিশ্বাস করে দিয়েছি, কিন্তু ঋণ দেওয়ার দিন অফিসও উধাও হয়ে গেছে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর একজন অফিসারকে পাঠিয়েছি। কুসুম্বা গ্রামের ‘জনকল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি এনজিও মানুষের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। অভিযোগ করলে তদন্ত করে যদি সঠিক তথ্য প্রমাণিত হয়, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।