‘৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যাওয়াদের হেনস্তা করার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের কোন গৌরব নেই’

৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যাওয়া গুটিকয় নারী পুরুষকে হেনস্তা করার মধ্যে গণ- অভ্যুত্থানের কোন গৌরব নেই এমন মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে টাংগাইলে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশে ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান একবিংশ শতাব্দীতে দুনিয়ার বুকে গণজাগরণ-গণপ্রতিরোধে এক মহাকাব্যিক উপাখ্যানের মত। এই গণ-অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে জনগণের অফুরন্ত শক্তির উদ্বোধন সূচিত করেছে। দুঃখজনক হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের তাৎপর্য বুঝতে পারেনি; একে কাজে লাগাতে পারেনি। এ কারণে ইতিমধ্যে পরিবর্তনের অমিত সম্ভাবনার অনেকটা বিনষ্ট হয়েছে। এখন চেষ্টা হবে আগামীতে এই সম্ভাবনার কতটা ধরে রাখা যায়! তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থান অর্জন ধরে রাখার পরবর্তী গন্তব্য হচ্ছে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যাত্রা করা।
সাইফুল হক আরও বলেন, শেখ মুজিবর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যাওয়া গুটিকয় নারী-পুরুষকে হেনস্তা করার মধ্যে কোনো গৌরব নেই। এসবের মধ্য দিয়ে গণ অভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষা করা যাবেনা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির টাংগাইল জেলা কমিটির সভাপতি সাইফুর রেজা মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুল হাসান পিপলু, মীর রেজাউল আলম, স্থানীয় নেতা ওয়াহিদুজ্জামান মতি, আজাদ খান ভাসানী, অ্যাডভোকেট আলী ঈমাম তপন, শফিউল আলম, নুরুজ্জামান, মাহমুদুল হক সানু, হেদায়েত আলী খান, খোরশেদ আলম, আমিনুল ইসলাম অনল, গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অভিবাবক শফিকুল ইসলাম, ফিরোজ খান, ছাত্রনেতা মুনসুর হেলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা গোলাম রাজিব, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, সুমন খান মাহবুব প্রমুখ।