অসময়ে রুমার বাগানে গাছে ঝুলছে হরেক রকম আম

নীলফামারীর রুমা অধিকারী লেট ভ্যারাইটির ভিনদেশি আম উৎপাদন করে হয়েছেন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। অসময়ে তার বাগানের গাছে ঝুলছে হরেক রকম আম, যা বাজারে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে।
রুমা ২০০৪ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষে কৃষিতে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ২০২৩ সালে স্বামীর পৈতৃক এক একর জমিতে ৩০০ ভিনদেশি আমগাছ রোপণ করেন তিনি। ইউটিউব দেখে সংগ্রহ করা কিং অফ চাকাপাত, কাটিমন, ব্যানানা, রেড পালমার, হানি ডিউসহ নানা জাতের আম রয়েছে তার বাগানে। একই জমিতে রোপণ করেছেন দার্জিলিং কমলা, ড্রাগন ও সুপারি গাছও।
২০২৪ সালে প্রথম ফলনেই রুমা দেড় লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করেন। এ বছর বাগানের আম বিক্রি করে চার লাখ টাকার বেশি আয়ের আশা করছেন তিনি। আম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। সম্পূর্ণ অর্গানিক এই বাগানের নাম দিয়েছেন ‘বৃন্দাবন অর্গানিক অ্যাগ্রো ফার্ম’। আগামীতে আম, কমলা, ড্রাগন ও সুপারি থেকে বছরে ৩৫-৪০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
রুমা বলেন, প্রতিদিন দুইজন শ্রমিকের সঙ্গে আমিও বাগানে কাজ করি। ভবিষ্যতে গরু পালন ও ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা আছে, যা কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। এজন্য তিনি স্বল্পসুদে ঋণের প্রত্যাশা করছেন।
তার স্বামী দুলাল অধিকারী পুলিশ কর্মকর্তা। ছুটি পেলেই বাগানে সহায়তা করেন। দুই ছেলে রুদ্র ও অভিও পড়াশোনার পাশাপাশি মায়ের কাজে সহযোগিতা করছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, আম চাষে রুমা অধিকারীর সফলতা শুধু ব্যক্তিগত গল্প নয়, বরং এটি একটি উদাহরণ। যা দেখিয়ে দেয় পরিকল্পনা, শ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে কৃষিতেও গড়ে তোলা সম্ভব টেকসই ভবিষ্যৎ। যদি এমনভাবে তরুণ-তরুণীরা কৃষি খাতে এগিয়ে আসেন, তাহলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী ও সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে।