ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ইউএনও রাহুল ওএসডি

সাভারে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রহত্যা মামলার আসামি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দকে ওএসডি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে তাকে এই ওএসডি করা হয়।
আজ সকাল ১১টায় রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও রাহুল চন্দকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। রাজাপুরের ‘জুলাই যোদ্ধা’র ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে ওএসডি করা হয়।
ইউএনও রাহুল চন্দকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বারিউল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিসিএস ৩৫ ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজাপুরে যোগদান করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট রাহুল চন্দ সাভারের ইউএনও থাকাকালে ঢাকামুখি লংমার্চে তার নির্দেশে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করে। এ সময় সাভার ডেইরি ফার্ম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আলিফ আহমেদ সিয়াম নিহত হয়। এ ঘটনায় আলিফ আহমেদের বাবা সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় রাহুল চন্দকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে। একজন মামলার আসামিকে উপজেলা ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া প্রশাসনের জন্য কলঙ্কজনক বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, সাভারের ওই নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মূল নির্দেশদাতা ছিলেন রাহুল চন্দ। অথচ তিনি এখনও বহাল তবিয়েতে সরকারি পদে রয়েছেন। তাই অবিলম্বে তাকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রাজাপুরের বাসিন্দা জাকারিয়া সুমন, টুকু মৃধা, মাওলানা বাইজিদ ও আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কাওছার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কাঁঠালিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রাজাপুরের ইউএনওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।