আমাদের শর্ত এনশিউর করে নির্বাচনে যেতে হবে : ইসিতে জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আমরা নির্বাচনের জন্য তৈরি আছি। কিন্তু নির্বাচনের জন্য যে শর্ত এবং দাবিগুলো আমরা দিয়েছি, সেগুলো এনশিউর করে নির্বাচনে যেতে হবে। তাহলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভালো নির্বাচন হবে। না হলে হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে হামিদুর রহমান আযাদ এ কথা বলেন।
হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, নায়েবে আমির ঢাকা মহানগর উত্তর ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান মূসা।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার জন্য আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে আপনারা নির্বাচনের টাইমলাইন দিতে পারেন। তো আমরা এখানে সরকারকে বাধ্য করিনি। আমরা ফ্লেক্সিবল ছিলাম। সরকার প্রস্তুত হলে এই টাইমলাইনে নির্বাচন করতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে যে, আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি বা প্রস্তুত হয়েছি, তাহলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা ডিসেম্বর মাসে করলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলেও আমরা প্রস্তুত আছি। কারণ, আমরা মাঠে আছি। যদি কারও নির্বাচনে প্রস্তুতি না থাকে, এখনও নমিনেশন ঠিক করতে না পারে, মারামারি কাটাকাটির জন্য, যদি তারা সিদ্ধান্ত পৌঁছতে না পারে, এটা তাদের উইকনেস। এটা আমরা এখানে বলতে চাই না। আমরা নির্বাচনের জন্য রেডি।
জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা বলেন, পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে আমরা অতীতে নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছি। আমরা গ্রহণযোগ্য সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছি। সেই হিসাবে আমরা তিনশ আসনের প্রার্থী দিয়ে মাঠে-ময়দানে জনগণের কাছে যাচ্ছি, জনমত গঠনে কাজ করছি। একটা পার্টি ইলেকশনের মাঠে থাকা, প্রস্তুতি নেওয়া— এটা মিন করে না যে আমি ইলেকশনে না যাওয়ার জন্য এটা করছি। আমি ইলেকশন যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাব কিনা— এমন প্রশ্ন যদি সামনে আনি, তাহলে এখানে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। এটা একটা বেটার পদ্ধতি, উত্তম পদ্ধতি বলে আমরা মনে করি। জনগণ চাইলে অবশ্যই সরকারকে এটা মানতে হবে। এজন্য আমরা ইলেকশনে যাব বা যাব না— এ প্রশ্নটার এখনও ম্যাচিউর টাইম আসে নাই। সময় এটার কথা বলবে। আমরা আশাবাদী জায়গা থেকে বলতে পারি, আপনাদের আশ্বস্ত করছি, ইনশাআল্লাহ, আমরা জনমত ক্রিয়েট করে, জনগণের মত হিসেবে সরকার যেন এটা মেনে নেয়— আমরা সেই পর্যায়ের দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে। নির্বাচন প্রস্তুতিও এই জনমত গঠনের অংশ হিসেবে কাজ করবে। আমাদের ক্যান্ডিডেটরা যখন মানুষের কাছে ক্যাম্পেইনে যায়, এ বক্তব্য তুলে ধরছে।
তিনি আরও বলেন, ইলেকশন কমিশন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে উনারা সিনসিয়ারলি এগোচ্ছেন। ফেয়ার ইলেকশনের যে কমিটমেন্ট সরকার করেছে— ইতিহাসের সেরা নির্বাচন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন— জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও উনাদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে কোনো ফারাক নাই। এ দুইটা মিলে গেলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের সব ইতিহাস ব্রেক করে একটা ভালো নির্বাচন হবে, আমরা আশা করছি।