মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বে পা ভাঙল যুবকের, বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা এলাকায় মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আকাশ মোল্লা (৩৫) নামে এক যুবকের পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আকাশের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।
গুরুতর আহত অবস্থায় আকাশ মোল্লাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আকাশ।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদক ব্যবসা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে পূর্ব ধামুরার মো. সোহেল ফকির ও তার সহযোগীরা ১৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আকাশের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এসময় আকাশের দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আকাশসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারাত্মকভাবে আহত করে। এর আগে দুপুরে আকাশকে হুমকি দেন সোহেল ফকির। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় রাতে হামলার ঘটনা ঘটে।
সোহেল ফকির দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে অভিযোগ করে আকাশের মা মিনারা বেগম এনটিভি অনলাইনকে বলেন—“আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এভাবে হামলা করা হয়েছে। শুধু ছেলে নয়, আমাদের ঘরবাড়িতেও হামলা চালিয়েছে। আমরা ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।”
আহত আকাশ মোল্লা বলেন— “আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার ওপর এইভাবে হামলা করা হয়েছে। আমার পা ভেঙে দিয়েছে, ঘরবাড়িতে হামলা করেছে, গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি তাদের চিনি, খুব শিগগিরই আইনের আশ্রয় নেব।”
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল ফকির বলেন, “আমার ভাগিনার সঙ্গে আকাশের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমি সমাধানের চেষ্টা করেছি। তবে গাড়ি পোড়ানোর বিষয়ে আমরা দায়ী না।”
আগৈলঝারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক গোলাম মোরশেদ সবুজ বলেন, আকাশ নামে একজন চিকিৎসারত আছেন। তার চিকিৎসা চলছে।
এ ব্যাপারে ৫ নং শোলক ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য সান্টু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। একজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে আমি ঐ দিন বরিশালে ছিলাম।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সালাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।