নদীভাঙন রোধে কমিউনিটির পরিকল্পিত পদক্ষেপ জরুরি

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা জিঞ্জিরাম নদীভাঙন রোধ ও ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটির নেতৃত্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক এক নদী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরডিআরএস বাংলাদেশ ট্রোসা-২ প্রকল্পের আয়োজনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, কমিউনিটির নেতৃত্বে ইতোমধ্যে প্রায় ৬০০ মিটার এলাকায় ২৭টি বাঁশের বান্ডাল দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে নদী ভাঙন মোকাবিলায় স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং, চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর আগে স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও ট্রোসা-২ প্রকল্পের সহায়তায় নদীতে বাঁশের বান্ডাল স্থাপনের পাশাপাশি জিও ব্যাগ ব্যবহার করে ভাঙন কিছুটা রোধের চেষ্টা করা হয়েছে।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, নদীভাঙন কেবল বসতভিটা ও জমি নয়, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, জীবিকা এমনকি ভবিষ্যৎকেও গ্রাস করছে। তাই নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ধরে রাখতে স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পিত পদক্ষেপ ও সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. উম্মে হোসনে আরা। আলোচনায় অংশ নেন রৌমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপিকা আনজুমান আরা, রৌমারী মহিলা কলেজের প্রভাষক আখতারুজ্জামান, রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম, নদী সংগঠক মহীউদ্দিন মহির ও শিক্ষক আক্কাস আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, ট্রোসা-২ প্রকল্প কর্মকর্তা খায়রন্নেসা সরকার, ভাঙন ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা স্থানীয় প্রতিনিধি শাহানবী, সাজেদুল ইসলাম সবুজ, আনুজা বেগমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রকল্প কর্মকর্তা খায়রুন্নেসা সরকার বলেন, বিগত সময়ে আমরা বকবান্ধা কমিউনিটিকে নদী বৈঠকের মাধ্যমে একত্রিত করে ভাঙন মোকাবিলায় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পাশে থেকেছি। বর্তমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা এখন ভবিষ্যতে নদী কেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে কাজ করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন।