কেয়া হত্যা মামলায় স্বামী সিফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

কলেজ ছাত্রী ফাহমিদা তাহসিন কেয়া হত্যা মামলায় স্বামী সিফাত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেয়াকে হত্যা করেছে তার স্বামী সিফাত আলী। এজন্য আমরা আজ তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—দিশা সিকদার (২৯), কাজী মারুফ নেওয়াজ প্রেম (৩১), মো. আজাদ হোসেন (৪০), মনির (২২), মো. জীবন (২৮), চালক মুকুল (৩৫), মাহফুজ সিকদার (৩৫), চালক ইমতিয়াজ (৪০)। এ ছাড়া আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সৈয়দা ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৬) প্রায় ১৩ বছর আগে আসামি সিফাত আলীর (৩১) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ, শারীরিক নির্যাতন ও মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনে ভুগছিলেন কেয়া। গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা থেকে ১টা ৫৬ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে কেয়ার স্বামী সিফাত আলী ও আরও কয়েকজন মিলে যোগসাজশে তাকে হত্যা করেন। ঘটনার পর রাতে সিফাত আলী তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানান ‘কেয়া নেই’। পরবর্তীতে তারা কেয়ার খোঁজে বের হলে সিফাত প্রথমে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যেতে বলেন। পরে তিনি বিআরবি হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা জানতে পারেন, কেয়া মৃত। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেয়ার মরদেহ ঢামেকে নিয়ে যেতে বলে।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, কেয়ার মরদেহে গলা, ডান বাহু এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও কালশিরা দেখতে পান। এ ঘটনায় কেয়ার মা নাজমা বেগম মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।