প্রশাসনের আশ্বাসে ভাঙ্গায় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক গেজেটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে চলা সড়ক অবরোধ প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি পূরণের জন্য তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই অবরোধ প্রত্যাহার করে তারা।
এর আগে বিকেলে ভাঙ্গা গোল চত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে আলগী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ দ্বিতীয় দফায় এই অবরোধ শুরু করে, যার ফলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সব ধরনের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
এর আগে, সকাল ৮টা থেকে দুটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হামিরদী ও সুয়াদী বাসস্ট্যান্ডে গাছ কেটে এবং টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়েছিল, ফলে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
অবরোধকারীরা জানান, ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে আমরা ভাঙ্গা উপজেলার মানুষ এক পরিবারের মতো ছিলাম। তারা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ভুল উল্লেখ করে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দুটি ইউনিয়নকে পুনরায় ভাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, সকালে স্থানীয়রা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করলেও বিকেলে আবার অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ফরিদপুর-২ আসনের এমপি প্রার্থী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত খুবই ভুল। এটি দুটি আসনের মানুষের মাঝে গভীর আঘাত হেনেছে। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্যপ্রার্থী ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এই সিদ্ধান্তকে ভুল আখ্যা দিয়ে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, আমরা ফরিদপুর-৪ আসনটি ২০০১ সালের মত ফিরে পেতে চাই। একই সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৫ আসনটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ফরিদপুর-৪ এর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যপ্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল বলেন, ভাঙ্গার গৌরব ও মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে দুটি ইউনিয়নকে আবার ভাঙ্গার সঙ্গেই যুক্ত করতে হবে। অন্যথায় আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।