আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে, স্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন যেমন ছিল, সাম্প্রতিক কয়েক দিনের ঘটনায় আমি বলব, সেটা কিছুটা খারাপের দিকে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে দ্রুতই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।’
আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রাজবাড়ীর ঘটনায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘রাজবাড়ীর ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। পাঁচজনকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তা তখনই জানা যাবে।’
যাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেই ডিসি ও এসপিকে দায়িত্বে রেখে কি সুস্থ তদন্ত সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কারও অবহেলা বা গাফিলতি ছিল কিনা, সেটা তদন্তেই বের হবে। আগে থেকেই কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিলে তদন্তের গুরুত্ব নষ্ট হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আর কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।’
রাজবাড়ীতে গত কয়েকদিন আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তারপরও কেন এই মব ঠেকানো গেল না। গতকাল হাটহাজারীতেও এমন একটা ঘটনা ঘটল। তাহলে কি আপনারা মব ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছেন? এমন অভিযোগ নাকচ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হইনি। যারা এসব ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আসলে আমরা অনেকটাই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। সমাজে ধৈর্যের অভাব তৈরি হয়েছে। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচনে এসব পরিস্থিতি জনগণের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, তখন তাদের কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে যেতে জনগণকে বাধা দেওয়ার মতো শক্তি কারও নেই।’