পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে জিরো টলারেন্স : বিজিএমইএ

পোশাক কারখানার শ্রমিক কর্মীদের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্টের আলোকে তৈরি পোশাক খাতের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাজরিন ফ্যাশনস ও রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর নেওয়া পদক্ষেপে পোশাক শিল্পের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পোশাক শিল্পের শ্রমিক কর্মীদের নিরাপত্তায় নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এদেশে কমপ্যাক্ট, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব পদক্ষেপে কারখানাগুলোতে কর্ম পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প একটি রোল মডেল।
বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, আইএলওর মহাপরিচালক মি. হুংবোর বাংলাদেশ সফরে আমাদের কাজের অগ্রগতির বিস্তারিত তুলে ধরেছিলাম। তিনি তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বর্তমানে নতুন কারখানার অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রতিটি নিয়ম যথাযথ পরিপালন করা হয়। কারখানার নিরাপত্তা প্রশ্নে ডিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দুটি প্রধান রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের পণ্যের দর পতন অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে সংস্কার ও মজুরি বৃদ্ধিসহ অন্যান্য খাতে কারখানার ব্যয় বেড়েছে।’ ক্রেতাদের কাছে পণ্যের ন্যায্য মূল্য দাবি করে তিনি বলেন, কারেকশান অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়নে প্রতিটি কারখানার ব্যয় গড়ে ৫ কোটি টাকা বেড়েছে যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য কষ্টকর। তারপরও তা বাস্তবায়নে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রম অধিকার ও গ্রুপ ইন্সুরেন্স নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু পরিবেশ তৈরির মধ্যেই আমরা সীমাবদ্ধ নই। এরই মধ্যে পরিবেশবান্ধব গ্রিনশিল্পও গড়ে তুলছি। এ পর্যন্ত ২০টি কারখানা গ্রিন হয়েছে। আরো ১০০টি কারখানা গ্রিন হওয়ার অপেক্ষায় আছে। বিনিয়োগের সুরক্ষায় ৫০ বিলিয়ন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এসব কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ রয়েছে। তারা পোশাক খাতের অগ্রগতিতে কিছু শর্ত দিয়েছে। এর আগেই শর্ত পূরণে সমর্থ হবো। বিজিএমইএর পূর্ণ সহযোগিতায় ৩ হাজার ৬৬০টি চালু কারখানা পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে। কারখানাগুলো প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, বিকেএমইএর সহসভাপতি মনসুর আহমেদ, পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান প্রমুখ।