ইরান করবে তেল রপ্তানি, লাগাম টানতে চায় ওপেক
পশ্চিমারা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় ১৫ বছর পর ফের তেল রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইরান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে লাগাম টানতে চায় তেল রপ্তানিকারক দেশের সংগঠন ওপেক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার তেহরানে ওপেকের প্রতিনিধিরা ইরানের সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ বৈঠকের পরই বলা যাবে, ইরানের তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে কী শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গল ওপেকের নেতা সৌদি আরব ও ওপেকের বাইরের দেশ রাশিয়া তেল উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে। তবে এই সমঝোতা রপ্তানিকারক অন্য দেশগুলোর সম্মতির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে। বিশেষ করে এই আলোচনার মধ্যে ইরান না থাকলে সব সমঝোতা টিকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার তেহরানে ইরানের প্রতিনিধি বাইজান জানগানেহের সঙ্গে ওপেকের সদস্য দেশ কাতারের তেলমন্ত্রী ইউলোগিও দেল পিনো ও ভেনেজুয়েলার তেলমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি আলোচনায় বসছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর শর্ত মেনে নেওয়ায় ইরানের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পর থেকেই তেলের রপ্তানির জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছে ইরান। ওপেকের সদস্য হলেও ভূরাজনীতির ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও ইরান একে অপরের চক্ষুশূল। ফলে তেলের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে ওপেকের শর্ত নাও মানতে পারে দেশটি।
তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে ইরান ওপেকের শর্ত নাও মানতে পারে—এ আশঙ্কায় মঙ্গলবার তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট তেলের দাম ২ শতাংশ কমে ৩৩ ডলারের নিচে নামে। যদিও সৌদি ও রাশিয়ার সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনায় কয়েক দিন ধরে পণ্যটির দামে ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা দেখা যায়।