রবি-এয়ারটেল এক হতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি

দেশের দুই বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশের একীভূত হওয়ার প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি একীভূত ফি, তরঙ্গ চার্জ ও অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত রেখেছেন।
আজ সোমবার বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরও মন্ত্রী।
তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) এক কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পাঠানো একীভূত প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুটি অপারেটরের একীভূতকরণের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আরোপিত সব শর্ত অনুমোদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দেশে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রথমবারের মতো দুটি অপারেটরের একীভূত হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিষ্পত্তি হতে চলেছে।
গত ১৩ জুলাই দুই প্রতিষ্ঠানের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় ১০০ কোটি টাকা ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ওই ফি নির্ধারণ করা হয়।
গত ২৪ জুলাই একীভূত ফি ১০০ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত করে একীভূত প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাঁর অনুমোদনের জন্য পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। একত্রীকরণ ফি ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রতি মেগাহার্টজ টুজি তরঙ্গের জন্য ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে।
বর্তমানে এয়ারটেল ১৫ মেগাহার্টজের টুজি তরঙ্গ ব্যবহার করছে এবং এর লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হবে। রবি সমগ্র তরঙ্গের অধিকার লাভ করলে এ অপারেটরকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) মোট ৫০৭ কোটি টাকা দিতে হবে।
শর্তানুযায়ী, মোবাইল ফোন অপারেটর রবিকে কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিটিআরসির কাছে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দাখিল করতে হবে যেন একীভূত হওয়ার পর কেউ চাকরিচ্যুত না হয় কিংবা কোনো বেকারত্বের সৃষ্টি না হয়।
২০১৫ সালের আগস্টে সম্ভাব্য যুক্তকরণ নিয়ে রবি ও এয়ারটেল আলোচনা শুরু করে। গত ২৮ জানুয়ারি অপারেটরের মূল প্রতিষ্ঠানগুলো তা কার্যকর করতে স্বাক্ষর করে। দুই প্রতিষ্ঠান এক হলে এটাই হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান।